মত্র ১৩ বছর বয়সেই গান গেয়ে টেলিভিশন শোয়ের মঞ্চ কাঁপিয়েছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

0

বেতাজ সুরসম্রাজ্ঞী তিনি, লতা মঙ্গেশকরের পরের জেনারেশনকে তিনিই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, এই উপমাও দেওয়া হয়ে থাকে।

তিনি শ্রেয়া ঘোষাল। ১৯৯৯ সালে বলিউডে পা রাখেন, এরপর নিজের সুরেলা গলা এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ‘লতাকন্ঠি’র তকমা আদায়,

করে নিয়েছেন শ্রেয়া। মুর্শিদাবাদ জেলার ছোট্ট এক শহরের এই মেয়ে আজ তাই ভারতের গর্ব। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে গলা‌ সাধা শুরু।

তার পর থেকে গানকেই নিজের ধ্যান জ্ঞান করে নিয়েছেন তিনি। কন্ঠ‌ই যেন তাঁর ঈশ্বর, তিনি দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদপুষ্ট। দুই দশক ধরে বলিউডে রাজ করছেন শ্রেয়া। বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলেগু সহ অসংখ্য ভাষায় অগুনতি গান গেয়েছেন, গেয়ে চলেছেন। যদিও শ্রেয়ার এই যাত্রাটার প্রথম পথ ছিল রিয়েলিটি শো ই। ২০০০ সালে জনপ্রিয় সারেগামাপা তে যোগ দিয়েছিলেন ১৪ বছরের ছোট্ট শ্রেয়া। সেই শোতে বিজয়ী না হলেও বিচারকেরা বুঝে গিয়েছিলেন, ‘এই মেয়ের হবে’ তাই আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, “তোমার জন্য আর‌ও বড় মঞ্চ অপেক্ষা করছে বাইরে।” সেই শোয়ের সেমিফাইনালের একটি ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মঞ্চে দাঁড়িয়ে একটি রাজস্থানী ফোক গান গাইছে শ্রেয়া। একজন বাঙালী হয়ে কিভাবে রাজস্থানীর মতো আঞ্চলিক ভাষায় সে গান গাইছে, তা ও আবার এত ছোট বয়সে, তা দেখে অবাক হয়েছিল বিচারকেরা। সেসময় আসনে বসেছিল ঊষা খান্না, সাবির কুমারের মতো জাত শিল্পীরা। গান শেষে তৎকালীন সঞ্চালক শ্রেয়াকে জিজ্ঞেস করেছিল, “তোমার মাতৃভাষা তো বাংলা, তাহলে রাজস্থানী ভাষায় এত সুন্দর গাইলে কী করে?” শ্রেয়া জানায়, দেশের সবকটি ভাষাই তাঁর প্রিয়। তাছাড়া তার বাবার বদলির চাকরির কারণে বেশ কিছু বছর রাজস্থানে কাটিয়েছিল তাঁরা। সেই কারণেই ভাষার উপর তাঁর দক্ষতা চলে এসেছে। আর তারপর থেকেই গানের জগতে তার দীর্ঘ যাত্রা শুরু। নিজের দু’দশকেরও দীর্ঘ কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন শ্রেয়া।