



আমাদের আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দেখতে গেলে বর্তমান প্রজন্মের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।




তারা তাদের বেশিরভাগ সময়টাই ব্যয় করেন এই সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এখন মানুষ নিমেষের মধ্যে পৌঁছে যেতে পারেন হাজার হাজার মানুষের কাছে।




নিজের প্রতিভাকে কোন বাধা ছাড়াই তুলে ধরতে পারেন সকলের সামনে। বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের জগতে জনপ্রিয়তার নিরিখে তুঙ্গে পৌঁছেছে ‘মিঠাই’।
টানা ৩৯ সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে এই ধারাবাহিক। মুখ্য চরিত্র মিঠাই ও তাঁর উচ্ছেবাবু সিদ্ধার্থের বাড়তে থাকা রসায়ন আর সাথে মোদকবাড়ির বাকি সদস্যদের বিভিন্ন ঘটনা- সব মিলিয়েই একেবারে জমজমাট এই ধারাবাহিক। ধারাবাহিকের প্রায় প্রত্যেক চরিত্রেরই ভীষণ প্রিয় ও ভালোবাসার মানুষ মিঠাই। হইহট্টগোল, হাসিঠাট্টা প্রভৃতির মাধ্যমে সকলকে মাতিয়ে রাখে সে। সকলের মুখে হাসি ফোটাতে জুড়ি মেলা ভার মিঠাইয়ের। আর মিঠাই রানী এবং তার উচ্ছে বাবুর নানা খুনসুটি ঝগড়া দেখতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আটটায় উপস্থিত হয়ে যান সকল দর্শক জি বাংলার পর্দায়। কদিন আগেই মিঠাই সিরিয়ালে দেখা গেছিল একটি চমৎকার পর্ব। যেখানে মিঠাইয়ের উচ্ছে বাবু মিঠাই এবং তাঁর মা আর গুলতি কে একসঙ্গে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। সিদ্ধার্থ তাঁদের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে একটি ঘরোয়া বাঙালি রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে যায়। এমন কি দেখা গিয়েছিল সেই রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে মিঠাই এর মাকে সিদ্ধার্থ নিজে খাওয়ার পরিবেশন করেন। আর তাই দেখেই মিঠাইয়ের মা বুঝতে পেরেছিলেন যে সিদ্ধার্থ মিঠাই কে খুব ভালোবাসছে এবার।
আর সেই জন্যই তো মিঠাই এর এত খেয়াল রাখে সবসময় সিদ্ধার্থ। আর তারপরে সকলে মিলে তারা বাড়ি ফিরে আসে। পরে বাড়ি এসে সিদ্ধার্থ সঙ্গে সঙ্গে দাদাইকে জড়িয়ে ধরে এবং সিদ্ধার্থ বলে তাঁর দাদাই কে “মিঠাই আমার যোগ্য বউ দাদাই”। আর এইসব শুনে দাদাইও খুব খুশি হন। এছাড়াও সিদ্ধার্থ আরো কথা তার দাদায় কে বলে, সে বলে “যে খুশি আমি মাকে দিতে চেয়েছিলাম সেটা আমি আন্টিকে দিতে পেরে খুবই খুশি হয়েছি”। অনেক আনন্দের সঙ্গে বাড়ি এসেই তাঁর দাদাইকে জড়িয়ে ধরে সিদ্ধার্থ এসব কথা বলে। আর এইসব কথা পাস থেকে মিঠাই শুনে নেয়। আর মিঠাই রানী এইসব তাঁর উচ্ছে বাবুর মুখ থেকে শুনে খুবই খুশি হয়। এমনকি পরের পর্বে দেখা যায় রাতের বেলা সিদ্ধার্থ মিঠাই এর কাছে যায়। আর সে মিঠাই কে বলে “জানো মিঠাই আমি আন্টিকেও আমার নিজের মায়ের মতন দেখি, আমি অনেক খুশি মিঠাই আর এই সব কিছু তোমার জন্যই হতে পেরেছে, তুমি আমার যোগ্য বউ মিঠাই”। আর এইসব কথা বলে মিঠাই কে বুকে জড়িয়ে নেয় সিদ্ধার্থ।
আর এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে সিদ্ধার্থ এবার আস্তে আস্তে মিঠাই কে বউয়ের মর্যাদা থেকে ভালবাসতেও শুরু করে দিয়েছে। এই সবকিছু মিলিয়ে মিঠাই এবং তার উচ্ছে বাবুর ভালোবাসা বেশ চলছে। আর তাঁদের ভক্তরাও জমিয়ে উপভোগ করছেন তাঁদের এই কেমিস্ট্রি। কিন্তু এইসব কিছু হলেও যদিও বা পরে দেখা যায় মিঠাইয়ের মা হঠাৎই মারা যান। আর তারপরে মিঠাই অনেক চুপচাপ হয়ে যাওয়ার ফলে তাঁর উচ্ছে বাবু এবং মোদক পরিবারের সবাই মিলে মিঠাইয়ের মুখে আবার হাসিও ফুটিয়ে তোলে। আর তারপরে সামনে আসতে চলেছে মিঠাই পরিবারের সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান। আর সেই পুজোতেও এক নতুন চমক দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছে। যেখানে দেখা যাবে উচ্ছে বাবু নিজে তাঁর মিঠাই রানীকে ইংরেজি শেখাবে। আর এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে ইউটিউব এর STYLE LIFESTYLE BD নামের এক চ্যানেল থেকে। প্রতিদিন এই ভিডিওর ভিউজ বেড়েই চলেছে। আর এখন এই ভিডিওর ভিউজ এর মাত্রা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজারের কাছাকাছি এবং তার পাশাপাশি ভিডিওটি কে লাইক করেছে ১ হাজারের মতন মানুষ। চাইলে আপনিও দেখে আসতে পারেন এই ভিডিওটি।