শুক্রবারই জামিনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আর তার পরের দিনই হাসপাতাল থেকে ছুটির খবরও পেয়ে গেলেন মদন মিত্র ৷




আর এই জোড়া সুখবরেই অনেকটা চাঙ্গা এসএসকেএম হাসপাতালে বন্দি কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক ৷




মুক্তির আনন্দে এ দিন হাসপাতাল থেকেই মন্দিরে গিয়েছেন মদন মিত্র। সঙ্গে ছিল কৃষ্ণকলি খ্যাত অভিনেত্রী তিয়াসা রায়।




নারদ মামলায় অন্তবর্তীকালীন জামিন পাওয়ার তিনদিনের মাথায় রবিবার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান মদন।




গলায় মালা, মুখে চওড়া হাসি, কপালে লাল সিঁদুর, এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে আসছেন কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের শ্যামা ওরফে তিয়াশা রায় এবং মদন মিত্র।




দুজনেই হাসি খুশি। একসঙ্গে পাশাপাশি বসে পুজো দিয়েছেন। ক্যামেরার সামনে দিয়ে দুজনেই গটগট করে হেঁটে আসছেন।




বেলঘড়িয়ার খাটু শ্যাম মন্দিরে পুজো দিয়েছেন তারা। ঠিক এরকম ছবি আর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।




নারদ মামলা নিয়ে মন্তব্যে বাধা থাকায় সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি মদন। বলে ওঠেন ‘নারদ, নারদ’। সঙ্গে বলেন, ‘মদন মিত্র মুক্ত।




অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। চাল ও সেফহোম নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। পরে নিজেই হুডখোলা জিপ চালিয়ে রওনা দেন। একটি মাজারে যান।




সেখান থেকে একটি গুরুদোয়ারায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে রাস্তায় ইনহেলার দেওয়া হয়।




তাতেও কাজ না হওয়ায় রাস্তায় মধ্যেই অক্সিজেন দেওয়া হয় মদনকে। মদন শ্যামার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়াতে প্রচুর ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট, কমেন্ট উঠে আসে ছবিগুলি ঘিরে।




কিন্তু, এবারে রেগে গিয়েছেন মদন মিত্র। হ্যাঁ, আর সহ্য নয়। এবারে যাবতীয় কটাক্ষ এবং বিদ্রুপের জবাব দিলেন তৃণমূল বিধায়ক।
ফেসবুক লাইভে এসে তুলোধোনা করলেন তিনি। পরিস্কার করে জানিয়ে দেন মদন মিত্র,“ফুর্তি আমি মারতে যাইনি।”


তারপরই জানান, যাঁরা নিন্দা করছেন একটু ভেবে চিন্তে যেন তা করেন। কারণ করোনার এই সময় জনপ্রতিনিধি বাড়িতে বসে থাকতে পারেন না।
এরপরেই বলেন, “লক্ষ্মণ যদি শক্তিশেলের ঘা খেয়ে উঠে দাঁড়াতে পারে তাহলে আমি নয় কেন?” শিল্পী প্রসঙ্গে তিনি বলেন স্টুডিওপাড়ার কিছু শিল্পী নিজেদের,


সাত দিনের বেতন দান করেছেন ‘ইয়াস’ পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য। এদের মধ্যে কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের শ্যামা রয়েছে। রয়েছেন বিভান, পায়েল, শ্রীতমা, দিগন্ত, নীল, তৃণা,
মানসীর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাই এদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া।