অভিনেত্রী হওয়ার আগে কুলির কাজ করতেন টুইঙ্কেল খান্না, পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করে নিজেই জানালেন অভিনেত্রী

0

আধুনিক যুগে বিনোদনের আরেক নাম নেট দুনিয়া বা সোশ্যাল মিডিয়া। এই নেট দুনিয়া বর্তমানে আমাদের কাছে এক গুরুত্বপূর্ণ বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই আমরা বর্তমানে খেলাধুলা থেকে শুরু করে খবরাখবর নিমিষেই উপভোগ করতে পারি।

এমনকি এই নেট মাধ্যমের ফলে আমরা রানু মন্ডল, চাঁদমনি হেমব্রম এবং বিপাশা দাস সহ আরো বহু প্রতিভাবান ব্যক্তিত্বকে আমাদের মাঝে পেয়েছি। এমনকি এই সকল প্রতিভাবান মানুষজনের প্রতিভার ভিডিও প্রথমে এই সোশ্যাল মিডিয়াই আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস আমরা এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিমিষে পেয়ে যাই, যার ফলে আমরা আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য।

আজ আমরা কথা বলবো টুইঙ্কল খান্নাকে নিয়ে। টুইঙ্কল খান্না সুপারস্টার রাজেশ খান্না এবং অভিনেত্রী ডিম্পল কাপাডিয়ার মেয়ে। অভিনেত্রী একসময় বলিউডে একাধিক ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তবে বর্তমানে টুইঙ্কল অভিনয় জগৎ থেকে দূরে রয়েছেন।

তার বডরাবর ঝোঁক লেখালিখির দিকে। তাই মনে কোনো আফসোস নেই অভিনয় ছেড়ে দেওয়া নিয়ে। mনিজের ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুন সক্রিয় থাকেন টুইঙ্কল সেখানে মাঝে মধ্যেই নিত্যনতুন আপডেট দিয়ে থাকেন তিনি।

সম্প্রতি অভিনেত্রী একটি বইয়ের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গেছে বইটির নাম অন ক্যামেরা, অফ ক্যামেরা। আসলে এই বইটিতে লেখিকা টুইঙ্কল খান্নার সাথে তার মায়ের সম্পর্কের একটি বিশেষ দিক তুলে ধরেছেন।

এদিন ইনস্টাগ্রামের পাতায় প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক তথা সম্পাদক ভাবনা সোম্যার লেখা অন ক্যামেরা অফ ক্যামেরা বই থেকে নিজের জীবনের টুকরো স্মৃতি শেয়ার করেছেন টুইঙ্কল। যা থেকে জানা যায় অভিনেত্রী হওয়ার আগে খোদ টুইঙ্কেল খান্না বিমানবন্দরে মা ডিম্পল কাপাডিয়ার জন্য ‘কুলি’র কাজ করতেন।

এদিন টুইঙ্কেল ওই বই থেকে একটি অংশ শেয়ার করে লিখেছেন ‘অতীতের স্ন্যাপশট৷ প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক এবং সম্পাদক ভাবনা সৌম্যার এই বইটি একটি উপাখ্যান এবং এটি কখনও আবার একটি গভীর বিশ্লেষণের সাথে আনন্দদায়ক।

মানুষ তাদের সেলুলয়েড ফাঁদে আটকে আছে। এই বইটি কিছু চমৎকার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।’ টুইঙ্কেলের শেয়ার করা ওই বিশেষ অংশ থেকে জানা যায় ১৯৯৪ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে টুইঙ্কল তার মা ডিম্পলের সাথে তাদের ফ্লাইট ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

সেসময় তাদের সাথেই ছিলেন এই বইয়ের লেখক। তিনি টুইঙ্কলকে বলেছিলেন যে তার স্বাধীনতা উপভোগ করা উচিত যতক্ষণ না সে একজন তারকা হয়ে ওঠে এবং দেহরক্ষী দ্বারা বেষ্টিত হয়। উত্তরে , টুইঙ্কল বলেছিলেন, “আমি ভবিষ্যত সম্পর্কে বলতে পারি না তবে এই মুহূর্তে আমি আমার স্টার মায়ের জন্য একজন স্পট বয় হিসাবে কাজ করছি।’

এর পর তার যখন জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি ডিম্পলের লাগেজ বহন করছেন তার উত্তরে টুইঙ্কল জবাব দিয়ে বলেছিলেন, ‘কারণ আমার মা ব্যাগ চেক করা পছন্দ করেন না, তিনি ফ্লাইট নামার জন্য অপেক্ষা করতে পছন্দ করেন না, তাই এখানে আমি আমার কুইনের জন্য কুলি হয়েছি। ‘